× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিদায়ের সুর, বাড়ছে না বিক্রি

হাসনাত শাহীন

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৪ পিএম

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৫ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

অমর একুশে বইমেলার চারদিকে এখন বিদায়ের সুর। মেলা শেষ হতে আর মাত্র তিনদিন বাঁকি। আজ মঙ্গলবার ২৫তম দিনে মেলার শুরু থেকে প্রকৃত বইপ্রেমীদের আনাগোনা বেশি হবে বলেই আশায় ছিলেন প্রকাশকরা। বিকাল তিনটায় মেলার প্রবেশ পথ খুলে দেওয়ার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই আশার প্রদীপে আলো জ্বলেনি বলে জানান মেলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রকাশক।

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলাপ্রাঙ্গণে ঘুরে দেখা গেছে- মেলায় লোকজন খুবই কম। হাতে গোনা কিছু প্রকাশনীর স্টল-প্যাভিলিয়নের সামনে বইপ্রেমীদের ভিড় থাকলেও অধিকাংশ স্টল-প্যাভিলিয়নে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। দেখা যায়নি অন্যান্য দিনের মতো মেলায় ছবি বা সেল্ফি তোলার দৃশ্যও। তবে, সন্ধ্যার দিকে থেকে মেলায় বাড়তে শুরু করে বইপ্রেমীদের উপস্থিতি। মেলায় প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’, ‘পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.’, অন্যপ্রকাশের প্যাভিলিয়নের সামনে এবং ‘তাম্রলিপি’র চারইউনিটের স্টলের সামনে বাড়তি উপস্থিতির দেখা মিলেছে। এসব প্রকাশনা সংস্থার বিক্রয়কর্মীরাও এ সময়ে বই বিক্রিতে ব্যস্ত ছিলেন।

ঐতিহ্যের বিক্রয়প্রধান ইফতেখার আজিজ বলেন, আজকের শুরুতে তেমন বই বিক্রি না হলেও সন্ধ্যার দিকে বেড়েছে। এছাড়া আমাদের প্রতিদিনই মোটামুটি বই বিক্রি হয়েছে। আমা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো হবে।

বিকেল পাঁচটা দিকে অনুপম প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের কাছে এবারের মেলার বিক্রয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আজ তেমন বিক্রি হচ্ছে না। বইমেলায় লোকজনও কম। কিন্তু মেলা শেষ হতে আর মাত্র তিনদিন বাকি আছে; এই সময়ে মেলায় ভালো বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। এবার বুঝি মেলাটা ভালো যাবে না।

অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের মেলায় কেমন বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে শাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রতিবার মেলার শুরুর দিকে সাধারণত কম বই বিক্রি হয়। মেলার সময় যত বাড়ে ততই বই বিক্রি বাড়ে। বিশেষ করে বিগত কয়েকবছর ধরে দেখছি- মেলার ১৫ তারিখের পর থেকেই মেলায় প্রতিদিন বই বিক্রি বেড়েছে; সে কর্মদিবসের দিন হোক আর ছুটির দিন হোক। যা, মেলার শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থেকেছে। কিন্তু এবার; মেলার শুরুর দিকে কিছুটা বিক্রি হয়েছে। আর যত মেলা শেষের দিকে আসছে ততই যেন বিক্রি কমে যাচ্ছে। আমরা হতাশ।

এদিকে, আজ মেলার টিএসসি সামনের অংশের প্রবেশ পথের সামনে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে কাঁদার দেখা মিলেছে। এবং মেলার মাঝখানে ‘নালন্দা প্রকাশনীর পাশে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। যার কারণে টিএসসি’র সামেনর গেট দিয়ে প্রবেশের জন্য দুইটা পথ বাদ দিয়ে একটু ঘুরে মেলায় প্রবেশ করছেন মেলায় আগতরা। এবং নালন্দা’র প্যাভিলিয়নে যেতে অনেকটা লাফিয়ে পানি পার হয়ে যেতে হচ্ছে বইপ্রেমীদের। এনিয়ে কেউ কেউ বিরক্ত প্রকাশ করেছেন-তাৎক্ষনিকভাবে। তারা বলছেন- মেলায় প্রবেশ পথেই যদি এবাবে কাঁদা থাকে তাহলে মেলার ভেতরে কি আছে? মেলার কোন আয়োজক নেই; তারা কি এগুলো দেখতে পাই না। একটু বালি-মাটি ছিটিয়ে দিলেই তো পথটা যাতায়াতের উপযোগি হয়ে যায়।

খিলগাঁওয়ের আহনাফ আকিফ বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বইয়ের দোকান থেকে বই কিনলেও সারাবছর এই বইমেলার জন্য অপেক্ষায় থাকি। কেননা, এই সময়ে সব প্রকাশনীই অনেক নতুন বই নিয়ে আসে। একসাথে বিভিন্ন লেখকের বই পাওয়া যায়। সেগুলো থেকে নিজের মতো করে দেখেই বই কিনি। নতুন বই কেনার পাশাপাশি অনেক লেখকের সাথে দেখাও হয়। তাদের অটোগ্রাফ নিই। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগে। কিন্তু এবার মেলায় টিএসসির সামনের গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই কাঁদায় পা পিচলে পড়ে যাচ্ছিলাম। কোনভাবে রক্ষা পেয়েছি। এটা আমাকে বিরক্ত দিয়েছে। 

তিনি বলেন, প্রকাশনা সংস্থায় কয়েকটা অনুবাদের বই কিনতে যাচ্ছিলাম; তার আগেই দেখি বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে আছে পানি। পানিটা এমন জায়গায় জমে আছে যে, তার ঠিক দু-পাশে স্টল; নালন্দায় যেতে হলে হয় পানি লাফিয়ে যেতে হবে; নয়তো অন্যদিক দিয়ে ঘুরে যেতে হবে। আমি লাফিয়েই গেছি; কিন্তু যারা লাফিয়ে যেতে পারবে না তারা কি করবে! এটা কি দেখার কেউ নেই; মেলার কি কোন আয়োজক বলে কিছু নাই?

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা