প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:২৪ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৯ পিএম
হামলার পর সব্যসাচী’র স্টলটি বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রবা ফটো
অমর একুশে বইমেলায় ‘সব্যসাচী’ প্রকাশনীর স্টলে ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলাসৃষ্টি ও চড়াও হওয়ার ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করেছে বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ হারুন রশিদকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা একাডেমি প্রকাশনা সংস্থা ‘সব্যসাচী’ স্টলের সংঘটিত ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ হিসেবে তুলে ধরে এটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের কথা বলেছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, সংস্কৃতিকর্মী মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধি মো. আবুল বাশার ফিরোজ শেখ ও শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর।
আর কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে আছেনÑ একাডেমির প্রেসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
তসলিমা নাসরিনের বই রাখায় মেলার দশম দিন বিগত সোমবার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে ‘সব্যসাচী প্রকাশনার’ স্টলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ‘তৌহিদী জনতা’র নামে একদল লোক সব্যসাচীর স্টলের সামনে হাজির হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং স্টলের উপর চড়াও হয়; স্টল ভাঙচুর করে। তারা স্টলটিতে গিয়ে প্রকাশককে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সব্যসাচীর প্রকাশক শতাব্দী ভবকে বইমেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে যায়।
পরে পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষও ঘিরে রাখে উত্তেজিত ওই ব্যক্তিরা। এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা তৈরি হওয়ার পর সোমবার রাতেই বইমেলার স্টলে ‘বিশৃঙ্খলার’ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছেÑ এ ধরনের বিশৃঙ্খল আচরণ বাংলাদেশে নাগরিকের অধিকার এবং দেশের আইন উভয়ের প্রতিই অবজ্ঞা প্রদর্শন করে।
ঘটনার পর থেকে বন্ধ আছে সব্যসাচীর ১২৮ নম্বর স্টলটি। তবে বাংলা একাডেমি গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেছে, ‘বাংলা একাডেমি মেলায় কোনো স্টল বন্ধ করেনি এবং কোনো বইও নিষিদ্ধ করেনি।’