যাপিত জীবন ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৬:২৩ পিএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৪৪ পিএম
ডেঙ্গুজ্বর এডিস মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। সাধারণত এডিস মশার কামড়ে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। যার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে অতি দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
তবে ডেঙ্গুজ্বর হলে খাবারের প্রতিও বিশেষভাবে মনোযোগী হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেশ কয়েকটি খাবার খেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
কমলা : কমলার রস ডেঙ্গুজ্বরে বেশ ভালো কাজে করে। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ডেঙ্গুজ্বর নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে।
ডালিম : ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। ডালিম খেলে শরীরে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়ে। বিভিন্ন রোগ নিরাময়সহ ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে ডালিম বেশ ভালো কাজ করে।
ডাবের পানি : ডেঙ্গুজ্বর হলে শরীরে তরল পদার্থের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। এ সময় বেশি করে ডাবের পানি পান করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। কারণ ডাবে রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইটসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ।
পেঁপে পাতার জুস : ডেঙ্গুজ্বর হলে রোগীর শরীরে কমে যেতে পারে প্লাটিলেট। তাই এ সময় উপকার করতে পারে পেঁপে পাতা। পেঁপে পাতায় পাপাইন এবং কিমোপেইনের মতো এনজাইম সমৃদ্ধ উপাদান থাকে, যা হজমে সহায়তা করে ও শরীরে প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ডেঙ্গুজ্বর হলে প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ এমএল পেঁপে পাতার তৈরি জুস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
হলুদ : ডেঙ্গুজ্বরে কাজে আসতে পারে হলুদ। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করতে হবে। যা ডেঙ্গুজ্বর থেকে অতি দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করবে।
মেথি : অতি সহজে ঘুমিয়ে যেতে সহায়তা করে মেথি। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত মাত্রার জ্বর কমিয়ে আনে। ফলে ডেঙ্গুজ্বর হলে কাজে আসবে মেথি। তবে মেথি গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্রুকলি : ব্রুকলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজসমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন কে থাকে, যা রক্তে প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ব্রুকলি খাওয়ালে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।
পালংশাক : পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এই শাক খেলে শরীরে অতি দ্রুত প্লাটিলেট বৃদ্ধি পায়।
তবে ডেঙ্গুজ্বরের সময় কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তৈলাক্ত বা ভাজা খাবার, মসলাযুক্ত খাবার এবং ক্যাফিনযুক্ত পানীয় ইত্যাদি।