প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩ ১৭:০৯ পিএম
দেশের সব ভাষাভাষী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গত ১১ মে বৃহস্পতিবার ক্রেয়নম্যাগ আয়োজন করেছিল এক লিপিচিত্র প্রদর্শনীর। ক্যালিগ্রাফি এবং টাইপোগ্রাফি এই প্রদর্শনীটির নাম ছিল ‘বর্ণমালা’।
আয়োজনের শেষদিনে যেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক, নির্মাতা ও অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এবং কবি ও সাহিত্যিক, ভাষাসৈনিক অসীম সাহা। এ ছাড়া অতিথিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সাধারণ দর্শনার্থী ছাড়াও প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা অ্যারোমা দত্ত বলেন, বরাবরের মতো ক্রেয়নম্যাগ তার ভিন্নধর্মী পরিচয় বজায় রেখেছে। ইংরেজি, আরবি এসব ভাষা নিয়ে লিপিচিত্র অনেক হয়। বাংলা ভাষা, আদিবাসীদের ভাষা নিয়ে এরকম আয়োজন সত্যিই সময়োপযোগী। ক্রেয়নম্যাগের প্রতিষ্ঠাতা তানজিরাল দিলশাদ দিতান বলেন, গত বছর থেকে আমরা ক্যালিগ্রাফির প্রদর্শনী শুরু করেছি। এবছর বাংলা ভাষাসহ আমরা দেশের সব ভাষার প্রতি দৃষ্টি দিয়েছি। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো আমাদের বর্ণমালার সংরক্ষন করা।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও ভারতের বেশ কয়েকজন শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন অরূপ বাউল, জান্নাতুল ফেরদৌস, শুভ্র ধর, আব্দুল বাতেন সরকার, মনোয়ার হোসেন শাহ, মো. মোরসালিন বিন কাশেম, ওবাইদুল্লাহ ওমর, উপল রায় চৌধুরী, মেহনাজ তাবাসসুমসহ আরও অনেকে। আয়োজনের শেষাংশে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সনদপত্র। এই আয়োজনে সাসটেইনেবল ফ্যাশন অ্যাক্টিভিস্ট, শিল্পী ফায়জা আহমেদ অংশ নিয়েছেন তার শিল্পসম্ভার নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে হল গ্যালারি ৬-এর এক অংশজুড়ে সাজানো হয়েছিল তার শাড়ির সম্ভার। সেই সব শাড়িতে রয়েছে নানা রঙের, নানা বর্ণের ক্যালিগ্রাফি।
২০২০ সালে শুরু হওয়া ক্রেয়নম্যাগ একটি সামাজিক সংগঠন। সমাজের চলমান রীতি-রেওয়াজ, অসমতা এবং একপক্ষীয় দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে কাজ করে নিজেদের সংস্কৃতির বিকাশে। ইতঃপূর্বে ক্রেয়নম্যাগ আয়োজিত ক্যাম্পেইনগুলোর মধ্যে রয়েছে- অসময়ের ডাক, নীরবতার পাপচক্র, ঋতুর সাথে হোক সন্ধি, নিউ নর্মাল থ্রু মাই আইজ ইত্যাদি।