প্রতিদিনই দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোদের তেজও অসহনীয় হয়ে উঠছে। সানস্ক্রিন না মেখে এ সময় বাইরে বেরোনো উচিত নয়। যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রোদে বেরোনোর পর কিংবা অতিরিক্ত গরমে অনেকেরই ত্বকে ব়্যাশ, জ্বালাভাব, চুলকানি হয়। হতে পারে সানবার্নও। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। সানবার্ন বা হিট ব়্যাশ সারানোর জন্য কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদানের ওপরও ভরসা রাখতে পারেন। সানবার্নে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।
সানবার্ন সারাতে অ্যালোভেরা জেল
সানবার্ন সারানোর জন্য অবশ্য়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করতে চাইলে অ্যালোভেরা জেল ত্বকে লাগাতে পারেন। সানবার্ন সারিয়ে তুলতে অ্যালোভেরার পাতার নির্যাস বেশ কার্যকর। অ্যালোভেরায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে। ফলে সহজেই প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। সানবার্নের ওপরও লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
সানবার্ন হলে প্রথমেই ত্বকের সেই অংশটি ঠান্ডা করার চেষ্টা করুন। ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ওপর বরফ দিতে পারেন। জায়গাটি ঠান্ডা হলে তারপর কোনো জেল বা ময়েশ্চাইরাজার লাগান। একটি অ্যালোভেরার পাতা নিন। তার থেকে জেল বের করে আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিন। আপনি বাজারচলতি অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল যদি ঠান্ডা অবস্থায় ব্যবহার করতে পারেন, তবে আরও বেশি উপকার পাবেন। সম্পূর্ণ খাঁটি অ্যালোভেরা জেল বেশি কার্যকর।
তবে বাজারচলতি জেলের পরিবর্তে আপনি অ্যালোভেরার পাতা থেকেই জেল বের করে নিন। ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দিনে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল লাগান। কিন্তু আপনার সানবার্ন যদি ভয়ানক রূপ নেয়, তবে অ্যালোভেরা লাগানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। থার্ড বা ফোর্থ ডিগ্রি বার্ন হলে অ্যালোভেরা জেল লাগাবেন না। আগে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।
প্রখর রোদে সানবার্ন না হলেও অনেকেরই ত্বকে ব়্যাশ বেরিয়ে যায়। জ্বালা-চুলকানি হতে থাকে। সে রকম হলেও আপনি ক্ষতস্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের হাল ফেরায়। ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। ত্বকের জেল্লা বাড়ায়।