প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:২২ পিএম
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩০ পিএম
সংগৃহীত
ভিটামিন এ, সি, কে, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম সবই রয়েছে বিনসের মধ্যে। থাকে অনেকটা ফাইবারও। বেশিরভাগ বাচ্চা এই বিনস খেতে চায় না মোটেই। কিন্তু এর গুণাগুণ অনেক। তাই দেখে নিন বিনসের উপকারিতাগুলো।
পেশির গঠন মজবুত করে : বিনসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং আয়রন রয়েছে—যা মাংসপেশি দ্রুত বৃদ্ধি এবং মজবুত করতে সহায়তা করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাদের জন্য এই সবজি অত্যন্ত উপকারী। বাচ্চাদের জন্যও খুব উপকারী।
হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে : পুষ্টির অভাবে অনেক সময় হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। হাড় শক্ত রাখতে বিনস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে ক্যালসিয়াম থাকে। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন এ, কে এবং সিলিকন, যা হাড়ের জন্য উপকারী।
হার্টের জন্য : নিয়মিত বিনস খেলে হার্টের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে। কারণ এতে প্রচুর ফ্লেভোনয়েডস থাকে। এই ফ্লেভোনয়েড আসলে একপ্রকারের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যেটি সাধারণত কিছু ফল ও সবজিতে পাওয়া যায়। ফ্লেভোনয়েডের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ থাকায় এটি শরীরে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা কমায়। এটি রক্তনালির মধ্যে রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। বিভিন্ন কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণই হলো রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা।
ডায়াবেটিসে সহায়ক : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিনস আদর্শ সবজি। কেননা এটি অনেকগুলো উপাদান-সমৃদ্ধ; যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ডায়েটারি ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটও পাওয়া যায় এতে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এটি কোষকে রক্ষা করে এবং নতুন কোষ গঠনে কার্যকরী ভূমিকা নেয়।
পেটের সমস্যা দূর করে : নিয়মিত এই সবজি খেলে দূর হয় পেটের অনেক সমস্যা। হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা অনেকটা হ্রাস পায়। এ ছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। লাঞ্চ ও ডিনারে সবুজ বিনস খেলে তা শরীরের টক্সিন বাইরে বের করতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ জীবনযাপন করতে চাইলে আজই সবুজ শাকসবজি আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন।
গর্ভাবস্তায় : গর্ভবতী মহিলারা ডায়েটে রাখতে পারেন বিনস। এর ফলিক অ্যাসিড বাচ্চার গঠনের ক্ষেত্রে খুব কার্যকরী।
চোখের জন্য : সবুজ বিনস চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে। এর ক্যারটিনয়েডস ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। এ ছাড়াও বিনসের লুটিন ও জিয়াজ্যানথিন চোখের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি হতে দেবে না।
তাই নিয়মিত বিনস খাওয়ার অভ্যাস করুন। শিশুদের জন্য বিনস দিয়ে বানাতে পারেন পছন্দের রেসিপি। তৈরি করতে পারেন নুডলস, ফ্রাইড রাইস, মিক্সড সবজির মতো মজাদার খাবার।