প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৫:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো খেজুর। এটি শুধু সুন্নত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অসাধারণ একটি ফল। শত শত বছর ধরে এটি শক্তির উৎকৃষ্ট উৎস হিসেবে পরিচিত এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও দারুণ উপকারী।
খেজুর প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজের ভালো উৎস, যা শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। দীর্ঘসময় রোজা রাখার পর শরীর যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন খেজুর তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি পুনরুদ্ধারে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এতে উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজমক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। রোজার সময় অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, আর খেজুর সেই সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক। এটি অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়িয়ে পরিপাক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং হজমে সহায়তা করে।
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। রোজার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, খেজুর সেই ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন ‘বি৬’, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খেজুর রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া, এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
রোজায় সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ২-৩টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরের শক্তি বজায় রাখার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করবে। তাই শুধু রমজান নয়, সারা বছরই সুস্বাস্থ্যের জন্য খেজুর খাদ্যতালিকায় রাখা ভালো।