প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪৫ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৫৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আধুনিক জীবনের দৌড়ঝাঁপের মাঝে সুস্থ থাকা যেন এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যস্ততার কারণে অনেকেই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারেন না। তবে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সুস্থ থাকা সম্ভব।
সকালের রুটিনের গুরুত্ব
একটি ভালো সকাল মানেই সারা দিনের প্রাণশক্তি। দিনের শুরুতে এক গ্লাস উষ্ণ পানি পান করা হজমশক্তি ভালো রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এরপর হালকা ব্যায়াম বা মেডিটেশন করলে মন ও শরীর দুটোই চাঙ্গা থাকবে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
অনেকেই ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত খাবার খান না বা বাইরের ফাস্ট ফুডের ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন ও ভালো ফ্যাট রাখার চেষ্টা করুন। তেল-চর্বি কমিয়ে ঘরের তৈরি খাবারকে অগ্রাধিকার দিন।
পর্যাপ্ত পানি পান
পানির অভাবে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং ত্বকও নির্জীব হয়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। বাইরে গেলে সাথে পানির বোতল রাখুন, যেন শরীরে পানির ঘাটতি না হয়।
শরীরচর্চার অভ্যাস
সারাদিন অফিসের চেয়ারে বসে কাজ করলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো বা যোগব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে মাঝে মাঝে উঠে একটু হেঁটে নিন।
মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা
শুধু শারীরিক সুস্থতা নয়, মানসিক সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাজের চাপ কমাতে মাঝে মাঝে নিজেকে সময় দিন। পরিবারের সাথে সময় কাটান, প্রিয় কোনো শখে মন দিন, বই পড়ুন বা গান শুনুন। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমায় এবং মস্তিষ্ককে সচল রাখে।
প্রযুক্তি থেকে বিরতি নিন
দিনের অনেকটা সময় আমরা মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভির স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাটাই। এতে শুধু চোখের ক্ষতি হয় না, বরং মানসিক চাপও বাড়ে। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর ডিজিটাল ডিটক্স করুন—অর্থাৎ ফোন বা অন্যান্য স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।
সুস্থ জীবনযাপন কঠিন কিছু নয়, শুধু একটু সচেতন হলেই ব্যস্ততার মাঝেও সুস্থ থাকা সম্ভব। শরীর ও মনের যত্ন নিলে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।