খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৯ পিএম
ঘর উপহার দিচ্ছেন জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. খাদেমুল ইসলাম। প্রবা ফটো
প্রভাতী বালা। বয়স তার ৭০ ছুঁই-ছুঁই। স্বামী বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তার বয়সও ৭৩। বয়সের ভারে দুইজনই একেবারে নুয়ে পড়ার মতো অবস্থা। তার ওপর নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। ভাঙ্গাচোরা ঝুপড়ি ঘরে দুর্বিষসহ জীবনযাপন করছিলেন এই দম্পতি।
কখনো কখনো এই দম্পতির ঘরের চুলায় আগুনই জ্বলতো না। শীতের মৌসুমে ভাঙা বেড়া আর পলিথিনের চালের ঘরে তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থা হতো তাদের। এই ঘরে বসবাস করছেন প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। প্রতিবছর বর্ষা আর শীতের মৌসুমে খুব কষ্ট হতো তাদের। এই কষ্টকে সাথে নিয়েই জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা।
এমন মানবিক ঘটনা গণমাধ্যমে
জানতে পেরে অসহায় বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি পরিদর্শনে যান খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান। সেখানে তাদেরকে তাৎক্ষণিক নগদ অর্থ প্রদান
করেন তিনি। পরে বৃদ্ধ দম্পতির ভূমি সমস্যা সমাধান করে একটি নতুন ঘর উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
দেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)
দুপুরে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের অর্থায়নে জেলা সদর জোনের তত্ত্বাবধানে এই দম্পতিকে একটি ঘর
হস্তান্তর করেন জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. খাদেমুল ইসলাম।
এর আগে জোনের সার্বিক তত্বাবধানে জমিজমা সংক্রান্ত সকল জটিলতা সমাধান করে রান্নাঘর, ওয়াশরুমসহ এই ঘর উপহার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রিজিয়ন
ও জোন থেকে এই ধরনের মানিবক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম
অব্যাহত থাকবে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে আমরা এক সাথে থাকবো। একে অপরকে সহায়তা
করে যাবো। এ জেলার সকল সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নতি এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া
আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।’
পরে এই জোনের চেলাছড়াপাড়া
এলাকার বিধবা মহিলা সাবানা ত্রিপুরাকে নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
এ সময় খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার জিটুআই (ভারপ্রাপ্ত) ক্যাপ্টেন মো. মাজহারুল ইসলাম, কার্বারি এসোসিয়েশনের সভাপতি রনিক ত্রিপুরাসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।