প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৬ পিএম
ঢাকা মেকার্স
সৃজনশীলতায় নতুন মাত্রা যোগ করতে শুরু থেকেই কাজ করছে ঢাকা মেকার্স। নতুন প্রজন্মের কাজের ধারা অনেকটাই ভিন্ন, আর এই ভিন্নতা প্রকাশ পায় পুরো আয়োজন জুড়ে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম ছিল না। রাজধানীর গুলশান তেজগাঁও লিংক রোডের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছিল ‘ঢাকা মেকার্স ৩’। উদ্যোক্তা ও কারুশিল্পীদের আকর্ষণীয় পণ্যের পসরা বসেছিল পুরো আয়োজন জুড়ে।
ঢাকা মেকার্স বরাবরই চেষ্টা করে ভিন্ন ধারার কিছু করতে। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এ আয়োজনে যে ফুড জোনটি করা হয়েছিল সেটার পুরোটাই ছিল ফলের ক্রেট দিয়ে সাজানো। জিরো ওয়েস্টকে মাথায় রেখে, পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পাত্রে খাবার পরিবেশন করা হয়। উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে ছিল সংগীতের মঞ্চ। দেশীয় কারুপণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করার জন্য ক্র্যাফটস জোন করা হয়েছিল গ্লাস হাউসে। দোতলায় ছিল ৭৯ জন শিল্পীর শিল্পকর্মযুক্ত আর্ট মার্কেট। মূল বলরুম জুড়ে ছিল সৃজনশীলতায় উৎসবমুখর ঢাকা মেকার্সের মেকার্স মার্কেট। দেশি বিদেশি প্রচুর দর্শনার্থীদের আনাগোনা ছিল এখানে।
মেকার্স মার্কেটে অংশ নিয়েছিল ৬০ জন উদ্যোক্তা। পোশাক, অনুষঙ্গ, হোম ডেকোর, রিকশার আদলে তৈরি অনুষঙ্গ কিংবা ঘরের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি সৃজনশীল পণ্য, জুয়েলারি, পরিধেয় আর্ট, প্রিন্ট করা মজার মজার ম্যাসেজ, আর্টওয়ার্ক করা স্টেশনারি আর পোস্টার, ছোটবেলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনা ঈদ কার্ড, হ্যান্ডমেইড সোপ।
ছিল ক্র্যাফট জোন, যার পুরো হল সাজানো ছিল জামদানি দিয়ে তৈরি লন্ঠনে। এখানে একটি মঞ্চে যাত্রা বিরতির পক্ষ থেকে আলপনা আঁকার আয়োজন ছিল। ৫ দিনের আয়োজনে নানা কর্মশালাও হয়েছে। মিনিয়েচার টেরারিয়াম,ক্যালিগ্রাফি, সাস্টেইনেবল লেদার, জিরো ওয়েস্টেজ ওয়ার্কশপ আর নকশীকাঁথার অনুপ্রেরণায় ভূত ইলাস্ট্রেশনের ওয়ার্কশপ। ছিল লাঠিখেলা, বাঁশি বাজানো পরিবেশনা ও সাধুসঙ্গের পরিবেশনা। পাঁচ দিনই মুখর ছিল সংগীত আয়োজনে, যেখানে অংশ নিয়েছিলেন শিল্পী মুয়িজ মাহফুজ, কৃষ্ণকলি, কনক আদিত্য ও কফিল আহমেদ এবং ব্যান্ড সাবকনশাস, পাওয়ার সার্জ, পোস্ট অফিস সোসাইটি ও রেহমান ডুও। ঢাকা মেকার্সের এবারের আয়োজনের স্পন্সর ছিল সিটি ব্যাংক।
ছবি - প্রবা প্রতিবেদক