প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০২ পিএম
বেশিরভাগ মানুষ যারা একেবারেই শরীরচর্চা করেন না তারা বলেন- ‘সময়ের অভাবে ব্যায়াম করতে পারি না।’ একটু ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন সময়টা কিন্তু আসল সমস্যা নয়।
সুস্থ এবং ফিটনেস ধরে রাখতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। আমরা প্রায় সকলেই এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল। কিন্তু কতজন মানুষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিদিন যোগব্যায়াম করেন তা হাতে গুনে বলা যায়। অনেকেই আছেন যারা ব্যায়াম করবেন মনে করেও করেতে পারেন না। আপনি হয়তো বলবেন আমাদের রোজকার রুটিন এর জন্য দায়ী। কিন্তু জানেন কী এর আসল কারণ আমাদের চিন্তাভাবনা। আসলে আমারা নিজেদের যা বলি বা বোঝাই মানসিকভাবে তা আমাদের উপর প্রভাব ফেলে এবং বাস্তবেও আমরা সেটাই বিশ্বাস করি। বেশিরভাগ মানুষ যারা একেবারেই শরীরচর্চা করেন না তারা সবসময়ই বলেন সময়ের অভাবে তারা ব্যায়াম করতে পারেন না। একটু ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন সময়টা কিন্তু আসল সমস্যা নয়। অফিসের মিটিং, সংসারের কাজ, সন্তানের হোমওয়র্ক সবকিছু সামলে এক্সারসাইজ চলে প্রায়োরিটি লিস্টের একেবারে তলার দিকে। অথচ ভেবে দেখুন ব্যায়াম শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ থাকার জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে ৪-৫ ঘণ্টা ব্যায়াম করলেই যথেষ্ট। নিয়মিত শরীরচর্চা অতিরিক্ত ওজন কমায়, মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে, এনার্জি বাড়ায়, টাইপ টু ডায়াবিটিস, স্ট্রোক, কিছু ধরনের ক্যানসার, অস্টিওপোরোসিস রোধ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া সুস্থসবল এবং ফিট থাকার অনুভূতি সত্যিই অনবদ্য। এই সবকিছুর জন্য কি আমরা একটু সময় বের করতে পারি না? এখানেই আসে টাইম ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব। ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের শরীরের কথা ভেবে কিছুটা সময় বের করুন। চারপাশে তাকালে দেখতে পাবেন এমন অনেকে আছেন যারা আপনার চেয়েও হয়তো অনেক বেশি ব্যস্ত কিন্তু নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। অর্থাৎ শরীরচর্চার গুরুত্ব বুঝতে হবে।
দৈনন্দিন রুটিন থেকে সময় বের করার জন্য কয়েকটা ছোট টিপস-
প্রাথমিকভাবে ব্যায়াম শুরু করুন একদম কম সময়ের জন্য। ১০ মিনিট ব্যায়াম
করুন। হিসেব করলে দেখবেন প্রতিদিন সোশাল সাইটে এর চেয়ে বেশি সময় ব্যস্ত থাকি আমরা।
যারা বিবাহিত তারা দু’জনে মিলে শুরু করতে পারেন। সন্তানের জন্য ব্যায়ামের সময় না পেলে
সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই এক্সারসাইজ করুন। যোগব্যায়াম যে শুধু শরীর ভাল রাখে তাই নয়, মনকেও
শান্ত করে এবং স্ট্রেস কমায়। এই সুন্দর উপলব্ধির স্বাদ একবার পেলে ব্যায়ামের জন্য সময়
বের করতে কোনও অসুবিধাই হবে না। তাই চেষ্টা করুন শরীরচর্চার মাধ্যমে আনন্দ পেতে এবং
ব্যায়ামকে উপভোগ করতে।
ব্যায়ামের পাশপাশি সারাদিন ফিট থাকার চেষ্টা করুন। অল্প দূরত্বে যাওয়ার
সময় রিক্সা বা অটোতে না চড়ে অন্তত আধা ঘণ্টা হেঁটে যান। যেখানে সম্ভব লিফটের বদলে
সিঁড়ি ব্যবহার করুন। ফোন কথা বলার সময় হাঁটুন। তথাতথিত এক্সারসাইজ করতে ভাল না লাগলে
অন্যরকম কিছু বেছে নিন। নাচ, মার্শাল আর্ট, রোলার ব্লেডিং, অ্যারোবিক্স, পিলাটিস—যে কোনও একটা
নিজের ফিটনেস রুটিনে সামিল করতে পারেন।