বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এই যুগে সবচেয়ে বেশি তরুণ আসক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে ডিজিটাল এই যুগে থেমে নেই বয়স্করাও। করোনা-পরিস্থিতির পরপরই মানুষ সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়েছে। যা মেধা ধ্বংসের অন্যতম মাধ্যম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে স্কুলপড়ুয়া থেকে বয়স্ক—সকলেই এখন কমবেশি সক্রিয়ছ। অনেকে আবার দিনের অধিকাংশ সময় পার করছে সোশ্যাল মিডিয়ায় অথবা গেইম খেলে। আমাদের বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আসক্ত হয়েছে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক ও ইউটিউবে। বর্তমানে ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সবকিছুই মানুষ শেয়ার করছে, যা মানসিক ক্ষতি করছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এসব ডিজিটাল মাধ্যমের কারণে যুবসমাজ আজ ধ্বংসের পথে। সোশ্যাল মিডিয়ার শর্ট ভিডিও যেন এখন মানুষের ভবিষ্যৎ। এসব মাধ্যম থেকে আয় করার বিষয়টি যেন কারোর মাথা থেকে যাচ্ছেই না এখন। সকলেরই চিন্তা ভাইরাল হওয়া, যা মূলত আমাদের মেধা ধ্বংস করছে। বেড়েছে ডিজিটাল ক্রাইম ও কিশোর গ্যাং।
সময় এসেছে আমাদের এসব থেকে বেরিয়ে এসে ভবিষ্যৎ চিন্তার। এসবে আসক্তি থেকে যেন মানসিকভাবে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোররা ক্রাইমে জড়িয়ে না পড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারি:
• সময় নির্ধারণ: দিনে কতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন তা ঠিক করে নেওয়া।
• নোটিফিকেশন বন্ধ: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে নেওয়া।
• অন্য কাজে মনোযোগ বাড়ানো : বই পড়া, শখের কাজ করা বা পরিবারের সাথে সময় কাটানো।
• বাস্তব যোগাযোগ: অনলাইনের বদলে বন্ধুদের সাথে সরাসরি দেখা করা।
• সোশ্যাল মিডিয়া বিরতি: নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ বিরতি নেওয়া।
• সচেতনতা বাড়ানো: সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক সম্পর্কে জানা।
• বিকল্প: সোশ্যাল মিডিয়ার বদলে অন্য কোনো কাজে মন দেওয়া।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা কঠিন হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার কমানো সম্ভব।