প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫১ পিএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫৩ পিএম
ছবি : ফারহান ফয়সাল
দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য এবং সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে 'দ্য লোকাল কালিনারী হেরিটেজ অফ বাংলাদেশ'। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত ও হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
হোটেলটির গ্র্যান্ডডিওস রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই মনোমুগ্ধকর বাঁশি এবং দোতরার সুরে পুরো পরিবেশে রয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ছাপ। একপাশে ছোট টংয়ের দোকান রয়েছে যেখানে প্রতিফলিত হয়েছে দেশি ভাইব। আছে ফুচকার জন্য আলাদা কর্ণার। এছাড়া দেশীয় সবজি, নানা ধরণের মসলা, গ্রামীণ নানা অনুষঙ্গ দিয়ে সাজানো পুরো জায়গাটি।
এই আয়োজনের মাধ্যমে অতিথিরা স্থানীয় খাবারের বৈচিত্র্যময় স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন- পুরান ঢাকার বাখরখানি, চট্টগ্রামের মেজবান মাংস, রাজশাহীর চাপাটি, খুলনার চুইঝাল, কক্সবাজারের লইট্টা ভাজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কালাইয়ের রুটি, চাটগাঁওয়ের কালাভুনা এবং সিলেটের সাতকড়া মাংস সহ আরও নানা রকম মুখরোচক খাবার রয়েছে।
মিষ্টি মন্ডার ভিতরে আছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, বগুড়ার দই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই এবং মেহেরপুরের রসকদম্ব। বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত নানা ধরণের পিঠা। আয়োজনটিতে রয়েছে নকশি পিঠা, বরগুনার চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠাসহ অনেক সুস্বাদু পিঠা।
বাঙালি আইটেমের মধ্যে রয়েছে হরেক রকমের মুখোরোচক ও সুস্বাদু ভর্তা। বিভিন্ন ধরণের মাছ, হাসের মাংস, কালা ভুনাসহ দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের সম্ভার পাঁচতারা হোটেলে চোখে পড়ে না। সেই আইটেমই মিলবে এই আয়োজনে।
ঢাকা রিজেন্সির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর ( কারেন্ট ইন চার্জ) শাহিদ হামিদ এফ আই এইচ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র একটি খাবার উৎসব আয়োজন নয়, বরং বাংলাদেশের খাবার সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা। আমরা আশা করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশের খাবারের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।’
বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কেক কাটার মাধ্যমে জমজমাট এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের চেয়ারম্যান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিজেন্সি-র নির্বাহী পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (কারেন্ট ইন চার্জ) শাহিদ হামিদ এফআইএইচ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশী অতিথি ও ফুড ক্রিটিক্স, বিভিন্ন দূতাবাস ও এয়ারলাইন্সের বিশিষ্ট অতিথিরা।
ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারে সাজানো এই বিশাল আয়োজনে খাবার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯৯৯(জনপ্রতি)। সঙ্গে সিলেক্টেড কার্ড হোল্ডাররা পাবেন একটি কিনলে অন্যটি বিনামূল্যে। এই উৎসবটি ০৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৯ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত টানা ১০ দিন। হোটেলটির গ্র্যান্ডডিওস রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অতিথিরা এই ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।