প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হাইকোর্টের কমিটি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার প্রতিবাদকারী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শনাক্ত করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চারজন সচিবের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ রায় দেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব। কমিটিকে ৪ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভাকেট বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কাজী তামান্না ফেরদৌস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর সে সময়ের সামরিক সরকার মিছিল-মিটিং বন্ধ করে দেয়। তা সত্ত্বেও নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ হয়। এ সময় জাতীয় মুক্তিবাহিনী ও জাতীয় মুজিব বাহিনী নামে দুটি সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুভক্ত কয়েক হাজার ছাত্র, তরুণ ও মুক্তিযোদ্ধা তখন ওই বাহিনীতে যোগ দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার ৪৭ বছর পরও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়ায় পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধা ২০২২ সালে রিট আবেদনটি করেন। ২০২২ সালের ৭ আগস্ট রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। এবার চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এ কমিটি গঠন করলেন হাইকোর্ট।