চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৩ পিএম
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ও খুটাখালী ইউনিয়নে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৯ এপ্রিল) একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্থানীয় আব্দুল ওয়াহেদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মোজাহিদুল আওয়াল নুরী (রাজীব) এ রিট আবেদন করেন। আদালতে তিনিই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
অ্যাডভোকেট মোজাহিদুল আওয়াল নুরী বলেন, কৈয়ারখালি ও খুটাখালী ইউনিয়নে কতজন রোহিঙ্গার নাম ভোটার তালিকায় উঠেছে, তা জানতে চেয়ে তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৬ মের মধ্যে এ তালিকা আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম তোলা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিন বলেন, এ রকম কোনো তথ্য শুনিনি। আদালতের আদেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ঢেমুশিয়া ছাড়া সব ইউনিয়নে কমবেশি নতুন-পুরোনো রোহিঙ্গা রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মতে, পাহাড় ঘেঁষা ইউনিয়নগুলোতেই বেশি রোহিঙ্গার বাস। অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থল বা অন্য কোনো এলাকায় ভোটারও হয়েছে। পুরোনো রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই ভোটার হওয়া ছাড়াও জমিজমা ক্রয় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আত্মীয়তাও করেছে।
নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে, ইতোপূর্বে প্রশাসনিকভাবে একটি জরিপে চকরিয়ায় সাত হাজার রোহিঙ্গা সনাক্ত হয়েছিল। ওই জরিপের পর আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে পাহাড়ি গ্রামে বসতঘর তৈরি করে বসবাস করছে।