শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪২ পিএম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৫ পিএম
মুন্সী রুহুল আসলাম। প্রবা ফটো
হাইকোর্টের রায়
জাল করে পদোন্নতি নেওয়ার এক মামলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার বাদি হাইকোর্টের কিপার ইউনুস খান।
মামলার এজাহার
অনুযায়ী, মুন্সী রুহুল আসলাম সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কর্মরত অবস্থায়
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য কোটা সংরক্ষণের দাবিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন
দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার কিছু অবজার্ভেশনসহ রুলটি ডিসচার্জ হয়,
যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রয়েছে। মুন্সী রুহুল অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় জাল রায়
প্রস্তুত করে বিচারপতিদের স্বাক্ষর জাল করেন এবং রিট শাখাসহ আরডি শাখার কর্মচারীদের
সহযোগিতায় মামলার রেকর্ড থেকে মূল রায় সরিয়ে জাল রায় ঢুকিয়ে রাখেন। পরে সেই রায়ের নকল
সংগ্রহ করে শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দেন এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ
করেন।
পরে সুপ্রিম কোর্টের
রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সেই জালিয়াতির অভিযোগ আসে। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে
আনা হয়। প্রধান বিচারপতি এ ঘটনায় বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি
জিনাত হকের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন। এ বেঞ্চ ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ
রায় দিয়ে মামলার রুল ডিসচার্জ করেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে অনুসন্ধান
করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা
করার নির্দেশ দেন।
মুন্সী রুহুল আসলাম পেনাল কোডের ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলাটি গত ১৫ এপ্রিল দায়ের করেন হাইকোর্টের কিপার ইউনুস খান। আদালত ঢাকার শাহাবাগ থানায় মামলা নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে শাহাবাগ থানার পুলিশ শিবচর থানার পুলিশের সহায়তায় মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার জানান, শাহাবাগ থানার পুলিশ মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে শাহবাগ থানার পুলিশ।