প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০৯ পিএম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫৬ পিএম
রায় শেষে আদালত থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইল শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে। ছবি : ফোকাস বাংলা
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রতিষ্ঠানটির তিন শীর্ষ কর্মকর্তার স্থায়ী জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। তবে ২৩ মে পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শ্রম আদালতে আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আদেশ দেন।
ইউনূসের পক্ষে জামিন আবেদনটি করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ান ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রামীণ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তাদের জামিনের জন্য আবেদন করি। আদালত তাদের জামিনের মেয়াদ আগামী ২৩ শে মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন।’
গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ওই মামলায়।
শ্রম আইন ৩০৩ (ঙ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে এ রায় দেওয়া হয়। এ ছাড়া শ্রম আইন ৩০৭ লঙ্ঘন করায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকেই এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল একই আদালত। জামিন পাওয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের সেসময় বলেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম। এই দুঃখটা মনে রয়ে গেল।’
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাদেরও শ্রম আইন ৩০৩ (ঙ) ও ৩০৭ লঙ্ঘনের অভিযোগে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করেছেন আদালত।