ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৪ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৪৭ পিএম
হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আয়শা বেগমকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। প্রবা ফটো
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় নিজের সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মা আয়েশা বেগমকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও পরশুরাম আমলি আদালতের বিচারক ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
অ্যাডভোকেট গাজী তারেক আজিজ জানান, পরশুরামে চাঞ্চল্যকর লামিয়া হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার মা আয়েশাকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত।
শুনানিতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক ছোটন।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, লামিয়া হত্যা ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালতের বিচারক তিনদিনের রিমান্ড দেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত ও সন্দেহভাজন দুই যুবককে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে পুলিশ লামিয়ার মা আয়েশাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করলে আদালতে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিহত লামিয়ার বাবা মো. নুরুননবী বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে পরশুরাম থানায় হত্যা মামলা করে। মামলার এজাহারে আয়শা বেগমকে অভিযুক্ত করেছেন তিনি। সেই রাতেই আয়েশা বেগম ও লামিয়ার সৎ মা রেহানা আক্তারকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত বৃহস্পতিবার সকালে আয়েশাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সৎ মা রেহানাকে এজাহারকারীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরশুরাম পৌর এলাকার বাঁশপদুয়া গ্রামে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক মো. নুরুন নবীর ভাড়া বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের কর্মী পরিচয়ে দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তার দুই শিশুসন্তান দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরে ঢুকে শিশু লামিয়াকে স্কচটেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
লামিয়ার বড় বোন নিহা একজনের হাত কামড়ে দিয়ে পাশের কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। লামিয়াকে হত্যার পর সন্দেহভাজন দুই যুবক চলে গেলে নিহা দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে নিহা অজ্ঞান হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।