কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১০ পিএম
নিহত মিলন হোসেন। সংগৃহীত ফটো
কুষ্টিয়ায় আলোচিত মিলন হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দুই আসামিকে কুষ্টিয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মাহমুদা সুলতানা।
মিলন হত্যা মামলায় কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সজীব শেখ, একই এলাকার হাউজিং সি ব্লকের ইফতি খান, ডি ব্লকের সজল ইসলাম, কুমারগাড়ার ফয়সাল আহমেদ, দেশওয়ালীপাড়ার কাজী লিংকন ও সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের মধ্যে লিংকন, জনি, সজল ও ফয়সাল রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজধারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সজীব শেখ একসময় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাকে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি বহিষ্কার করে কেন্দীয় কমিটি। সজীব বর্তমানে এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান। এ ছাড়া সজীব ও ইফতি এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাদের চাঁদা না দেওয়ায় মিলনকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহির মাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। স্ত্রীকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চরের চারটি স্থান থেকে মিলনের মরদেহের ১০ টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাজু মোহন সাহা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সজীব ও ইফতিকে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছিল পুলিশ। তারা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। বাকি চার আসামিও কারাগারে আছেন।’