বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৫ পিএম
বিনা নোটিশে দুদক কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করা কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে স্বপদে পুনর্বহাল করে তাকে কেন সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ এপ্রিল এ রুল শুনানির দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। দুদকের সাবেক উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার রিট আবেদনের শুনানির সময় শরীফের আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন হাইকোর্টকে বলেন, দুদক তার কর্মকর্তাকে ৯০ দিনের নোটিশ দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারে না। বিধি প্রয়োগ করে শরীফের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে দুদক।
শরীফের আইনজীবী বলেন, শরীফ চাকরিতে থাকাকালীন বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত করে অনেক প্রভাবশালীর দুর্নীতি, অর্থপাচার ও অপরাধ প্রকাশ করে দিয়েছেন এবং এসব আড়াল করতেই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শরীফ যাদের দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছেন, তাদের মুক্তি দিতেই শরীফ হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে সরকারি-বেসরকারি সব চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হলে নিজস্ব আইনের পাশাপাশি ১২টি নতুন নির্দেশনা মানতে হবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
গত ২০ ডিসেম্বর দুদক কর্মকর্তা শরীফের চাকরিচ্যুতি বৈধ জানিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। ৪৭ পাতার এ চূড়ান্ত রায় লিখেছেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি। এদিকে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ-সংক্রান্ত দুদকের বিধিটি বহাল থাকছে। দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুসারে, কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যায়। বিধিটি বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিধিটি নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিধিটি নিয়ে দুদকের চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের করা রিটটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালত।
দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে বিধিটি বৈধতা পেল। বিধিটি বহাল থাকছে। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।