প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১০ পিএম
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে না পারা কেন ব্যর্থতা বলে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর একটি দৈনিক পত্রিকায়, ‘আলুর কেজি এক লাফে বাড়ল ১৫ টাকা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক জনস্বার্থে রিট করেন। তিনিই নিজেই রিটের শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, ‘রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কৃষি সচিবকে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষিপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে উৎপাদনস্থলে কেন বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্য সংরক্ষণাগার করা হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।’
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ক্রেতাকে প্রতিকেজি আলু কিনতে হয় ৭৫ টাকায়। সাত দিন আগে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। ঢাকার বাইরেও প্রায় একই চিত্র। সরবরাহ ঠিক থাকলেও হালিপ্রতি (৪ পিস) ডিমের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজ বাজারে এলেও ভারত রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে পণ্যটি এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রতারণার যেন আর শেষ নেই। ধারণা ছিল নির্বাচনের আগে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি সরকার সহনীয় রাখবে। ডিমের দাম কমানোর মধ্য দিয়ে সে ধরনের আলামতও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী যে, ডিমের বাজারের ওপর কয়েকদিন নিয়ন্ত্রণ থাকলেও তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।’
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘এমন এক বাস্তবতায় ‘অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরবরাহ ঠিক থাকলেও কারসাজি করে বাড়াচ্ছে সব পণ্যের দাম। গত সাত দিনের হিসাবও উল্টে গেছে। হঠাৎ কেন আলু ও ডিমের দাম বাড়ল- এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।’