শিশু আয়ানের মৃত্যু
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:১১ পিএম
শিশু আয়ান। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করার সময় মারা যাওয়া শিশু আয়ানের পরিবারকে কেন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে শিশুটির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি সারা দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতালের সংখ্যা এক মাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
৩১ ডিসেম্বর খতনা করানোর জন্য আয়ানকে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার অভিভাবক। সকাল ৯টার দিকে শিশুটিকে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। তবে অনুমতি ছাড়াই ‘ফুল অ্যানেসথেসিয়া’ (জেনারেল) দিয়ে চিকিৎসক আয়ানের খতনা করান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে জ্ঞান না ফেরায় তাকে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডা থানায় আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ বাদী হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক, অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও একজন পরিচালককে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী।
রবিবার আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষারকান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সোমবার চার সদস্যের একটি কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধানকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে ওই হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার একজন সহকারী পরিচালকও আছেন।