প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪৭ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৭ পিএম
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রবিবার দুপুরে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত চত্বরে। ছবি : ফোকাস বাংলা
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার কর্মকর্তার ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার পর জামিন দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার দিন থেকে এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে তাদের জামিন দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।
তাদের জামিনের আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনে দোষী সাব্যস্ত করে সোমবার (০১ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় রায় ঘোষণা দেন একই আদালত।
রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলার একটি ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার আরেক ধারায় তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।
রায় ঘোষণার পর জামিন আবেদন করে আসামিপক্ষ। পরে আপিল আবেদনের শর্তে জামিন দেন আদালত। সেই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিলের সময় বেঁধে দেন বিচারক মেরিনা সুলতানা।
রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আজকে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। সারা দুনিয়া এটি পালন করে বছরের নতুন দিন হিসেবে। আমরা আজকে আদালতে এসেছিলাম রায় শোনার জন্য। এসে মনটা ভরে গেল। আমার বহু বন্ধু-বান্ধব এখানে পেয়ে গেলাম। যাদের সঙ্গে আমার বহুদিন দেখা হয়নি। এরা আজকে এসেছে, এই আনন্দের দিনে যে আমার কি রায় হয়, আমার কি অবস্থা দাঁড়াল, তা দেখার জন্য। আমি কিন্তু খুব খুশি তাদের দেখে। মনটা ভরে গেল।’
তিনি বলেন, ‘যে রায় পেলাম। যে দোষ আমরা করিনি, সেই দোষের ওপরে শাস্তি পেলাম। এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল। আমরা সেটা গ্রহণ করলাম। কীভাবে আদালত থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা বিচার পাব, সেটা আমাদের আইনজ্ঞ এখানে আছে তিনি তা ব্যাখ্যা করবেন। তবে আমাদের মনে দুঃখটা রয়ে গেল, আজকে এই আনন্দের দিনে আমরা এই আঘাতটা পেলাম।’
ড. ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না।