প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৫৫ এএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৫৬ এএম
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফি। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেই কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফি এবং অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা যুক্ত হচ্ছে। ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ আমলে নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন শাখা-২ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব জোসেফা ইয়াসমিন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন। এতে দুই আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর অধ্যায় ৬-এর অন্তর্ভুক্ত ১২৪(ক) ধারার অপরাধ আমলে নেওয়ার লক্ষ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৯৯৮ সালের ৯৬ ধারার বিধান মোতাবেক সরকারের অনুমোদন দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি উচ্চারিত বা লিখিত কথা বা উক্তি দ্বারা, কিংবা চিহ্নাদি দ্বারা, কিংবা দৃশ্যমান প্রতীকের সাহায্যে কিংবা অন্য কোনোভাবে বাংলাদেশে আইনানুসারে প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা করার চেষ্টা করে কিংবা বৈরিতা উদ্রেক করে বা করার চেষ্টা করে তাহা হইলে সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন বা অন্য কোনো হ্রস্বতর মেয়াদের জন্য দীপান্তর দণ্ডে দণ্ডিত হইবে এবং তৎসহ তাকে জরিমানায়ও দণ্ডিত করা যাইবে।’
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনার পরপর জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে বক্তব্য দেন। সেখানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ওই দিনই ‘মিথ্যা পরিচয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের’ অভিযোগে মিয়া আরেফি, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলায় মামলা দায়ের করা হয়। পর দিন ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিয়া আরেফিকে আটক করে পুলিশ। আর চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গত মঙ্গলবার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই জনই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।