বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০৯ পিএম
জাহিদুল ইসলাম আরেফী। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে (মিয়া আরেফী) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুজানুর ইসলাম। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা মামলা করেন। এ মামলায় মিয়া আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকাল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।
রবিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।