প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৪৬ এএম
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১১:২০ এএম
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিককল্যাণ ফান্ডের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে হাজির হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে সংস্থাটির কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা চিঠির মাধ্যমে ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্যদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শোনা ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে ৫ অক্টোবর সকালে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।
৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশ থেকে ওই টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টকে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে জালজালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ করেন।
১৯৯৫ সালে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি হিসেবে যৌথ মূলধন কোম্পানিতে নিবন্ধিত হয়। গ্রামীণফোনে গ্রামীণ টেলিকমের ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। একই সালের ১১ নভেম্বর গ্রামীণফোন আইপিওতে আসে এবং গ্রামীণফোনের পাবলিক শেয়ার ১০ শতাংশ হয়। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রামীণ টেলিকম নিজেদের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান দাবি করে শ্রমিক-কর্মচারীদের কোনো লভ্যাংশ প্রদান করেনি।