প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৪ পিএম
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫১ পিএম
বিদায়ি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ফাইল ছবি
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কোনো ধরনের বিচলতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিদায়ি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দিন আমেরিকা যাইনি, যাবও না।’
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে শেষ কর্মদিবস পালন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। এটা স্বাধীন সার্বভৌম একটা রাষ্ট্র। একাত্তরে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও অনুকম্পায় নয়। স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন বিরোধিতা করছে। তাই এই ভিসানীতিতে আমরা বিচলিত নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনও আমেরিকা যাইনি। ভবিষ্যতেও কখনও যাব না।’
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধা প্রদানে দায়ী ব্যক্তি বা এর সঙ্গে জড়িতদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ শুরু করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরাও থাকবেন বলে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি হিসেবে মাত্র ১ বছর ৮ মাস সময় পেয়েছি। এ সময় প্রতিটি মুহূর্ত আমি এ দেশের বিচার বিভাগের জন্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কখনও নিজের কিংবা পরিবারের কথা ভাবিনি। মামলার জট নিরসনে সারা দেশের বিচারকদের উৎসাহিত করেছি ও নির্দেশনা দিয়েছি। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য সারা দেশের আদালত অঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করেছি। মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলাজট কমাতে সুপ্রিম কোর্টে মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপন করেছি। এর মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির যে হার বেড়েছে, তাতে আমি খুশি।‘
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি একজন ডায়নামিক ব্যক্তি। আশা করি, তিনি বিচার বিভাগকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করবেন।’
এ সময় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।