বরগুনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ২০:১৭ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪৪ পিএম
বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ফাইল ফটো
বরগুনার বামনায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে নেছার উদ্দিন ও মাহমুদুল হাসান আসিফ নামের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ার। বুধবার (২৩ আগস্ট) তিনি বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে নালিশি অভিযোগ দেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কাকন। নালিশি অভিযোগের বরাতে তিনি জানান, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সৈনিক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। স্থানীয় নেতারা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু যুবলীগ নেতার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার জন্য তার অনুমতি ছাড়া ছবি ও তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে নেছারউদ্দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৫ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
ফুল দেওয়া শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের ফুল দেওয়া শেষে
ক্ষমতাসীন দলের সব সংগঠন ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়। এ
সময় পুষ্পস্তবক অর্পণ নিয়ে উপজেলা সৈনিক লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন খান,
উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ারসহ সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের
অনুসারী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশ নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় সংসদ
সদস্যের দেওয়া পুষ্পস্তবকসহ বেশ কিছু পুষ্পস্তবক ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। এ
নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বামনা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ার বলেন, ’স্থানীয় মানুষ ওই সংবাদ পড়ায় আমি ও আমার পরিবারের স্বাভাবিক জীবনে প্রভাব পড়েছে। ওই সাংবাদিকেরা আমার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সুনাম নষ্টে ভূমিকা রাখায় আমি এ অভিযোগ করেছি।’
সাংবাদিক
নেছারউদ্দিন বলেন, ’এ ঘটনার ভিডিও বক্তব্য ও ছবি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ
প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু সেখানে আমার বিরুদ্ধেই কেন মামলা করেছে, বিষয়টি বোধগম্য নয়।’
বামনা
থানার ওসি মাঈনুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে ১৫ আগস্টের
দিন হাতাহাতির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।