র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১২:৫১ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৩:২১ পিএম
র্যাবের হাতে আটকের পর গত মার্চে মারা যান সুলতানা জেসমিন।
নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে এসেছে। রবিবার (২০ আগস্ট) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানানো হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, গত ১৪ আগস্ট উচ্চ পর্যায়ের কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। তখন আদালত বলেন- আমাদের কাছে এখনও প্রতিবেদন আসেনি।
গত ১৩ আগস্ট নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় বেঁধে দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এটা সেনসিটিভ ম্যাটার। বারবার সময় দেওয়া হবে না। দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল এ ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত র্যাব সদস্যদের দায়িত্ব থেকে আপাতত সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। কমিটিতে জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে রাখতে বলা হয়। তদন্ত সম্পন্ন করে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয় ৬০ দিনের মধ্যে।
এ ছাড়া মামলা ছাড়াই সুলতানা জেসমিনকে তুলে নেওয়া ও গ্রেপ্তার কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশে পরে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। এরপর র্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।