প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩ ১১:৫৬ এএম
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৩২ পিএম
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার আসামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। তার আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী উচ্চ আদালতকে বিষয়টি জানিয়েছেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার (২ আগস্ট) লিখিতভাবে এই তথ্য জানান মনসুরুল হক চৌধুরী।
এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মেডিকেল চেকআপের জন্য ১৫ জুলাই কলকাতায় যান সম্রাট। চিকিৎসা শেষে ২৪ জুলাই তিনি দেশে ফিরে এসেছেন।
মনসুরুল হক চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিকিৎসার জন্য সম্রাট বিদেশ যাওয়ার বিষয়টিকে ১৬ জুলাই আদালতকে জানানো হয়। সম্রাট বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে ওই দিন আদালতে দুদকের করা আবেদনের শুনানি ছিল।
পরে সম্রাটের আইনজীবী মনসুরুল হক বলেছিলেন, বিচারিক আদালতের আদেশ অনুসারে সম্রাট চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেছেন। আদালত বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর তা জানাতে বলেছেন। একই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন।
গত ১৩ জুলাই সম্রাটের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক। এর আগে তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত সম্রাটের পাসপোর্ট তার জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন।
সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা বলেছিলেন, সম্রাট কিডনিসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আগেই আবেদন করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে পাসপোর্ট তার জিম্মায় দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী আফরোজা আরও বলেন, সম্রাটের পাসপোর্ট তার জিম্মায় দেওয়ার আদেশ হয়েছে। তবে আদালত শর্ত দিয়েছেন, পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সম্রাট এক মাস বিদেশে অবস্থান করতে পারবেন। আর তিনি তার পাসপোর্ট সর্বোচ্চ দুই মাস নিজের জিম্মায় রাখতে পারবেন। পরে তাকে তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়া অভিযোগপত্রে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। এতে বলা হয়, এ টাকা তিনি পাচার করেছেন। গত বছরের ২২ মার্চ অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।