প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩ ১৯:০৭ পিএম
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৩ ১৯:৩৩ পিএম
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান। ফাইল ছবি
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
যুক্তি উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এই মামলায় ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ’তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলায় আমরা সকল অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আমরা যুক্তি উপস্থাপন শেষে এই আইনে তাদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।
২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। একই সঙ্গে আজ এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ মামলায় তাদের পলাতক দেখানো হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।