প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩ ১৭:৫৩ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩ ১৮:২৭ পিএম
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
গত ৩ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। পরে রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস। এরপর ৩০ মে হাইকোর্টের এক আদেশে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়ের স্থিতাবস্থা ও রুল জারি করা হয়।
এরপর হাইকোর্টের রায় স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন শ্রমিকরা। পরে ২২ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সোমবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১০৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। এ সময় কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে।
এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে শ্রমিকরা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিস পাঠান। এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা মামলা করেন।