প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩ ১৯:২৬ পিএম
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪৩ পিএম
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। প্রবা ফটো
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আরও দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
রবিবার (৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৬ জুলাই দিন নির্ধারিত করেছেন আদালত।
সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন—গুলশান জোনের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইয়াকুব ও বগুড়ার সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার আফতাব উদ্দিন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে ১৩ এপ্রিল একই আদালত তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ মামলায় তাদের পলাতক দেখানো হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবাইদাকে 'পলাতক' ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন। রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একই সঙ্গে ২০০৭ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকা ও সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।