প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩ ১৯:৪০ পিএম
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আরও পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তারা হলেন- সোনালী ব্যাংক নৌ সদর দপ্তর শাখার ম্যানেজার খন্দকার শহিদুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শহীদুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের সেলস ম্যানেজার একেএম হামিদুর রহমান ও ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার।
রবিবার (৪ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালত আগামীকাল সোমবার (৫ জুন) দিন নির্ধারণ করেছেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এদিকে আজও আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এ মামলার প্রতিনিয়ত সাক্ষ্যগ্রহণের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। আদালতে সাক্ষ্য চলাকালে বেলা ৩টার দিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর তারা সেখান থেকে নেমে গিয়ে আদালতের সিঁড়িতে অবস্থান নেন। সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ মামলায় তাদের পলাতক দেখানো হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবাইদাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতির মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একই সঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।