বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ২১:৪৬ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৩ ২১:৫৫ পিএম
অভিযুক্ত আসামি কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। প্রবা ফটো
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন ও জোর করে স্বাক্ষর রাখার ঘটনায় খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বোর্ডের সদস্য ছিলেন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মামলার আসামি মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মজিবুর রহমান ও মো. রাসেল।
আদালতের বিচারক মো. আজাহারুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ১৬ মে জামিনের আবেদন করলে উচ্চ আদালত আসামিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
গত ৫ মে উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় মাদরাসার সভাপতি মাহমুদ ও তার অনুসারীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে পাস করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন ও মারধর করে। একপর্যায়ে তার কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেন।
পরে এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।