প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ১৯:০৬ পিএম
যাবজ্জীবন সাজা শেষ হওয়ার পরও আলাউদ্দিন গাজী অতিরিক্ত সাড়ে ৭ বছর জেলে কেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আলাউদ্দিন গাজীর বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে সবশেষ তথ্য জানতে চেয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় অন্যায়ভাবে আটকে রাখলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন হাইকোর্ট।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ মে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আলাউদ্দিন গাজীকে হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিভূতি তরফদার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সাত বছরের বেশি সময় ধরে কারাবাসে থাকা শরীয়তপুরের সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিনকে কারাগারে আটক কেন বেআইনি নয় মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজি প্রিজন্স ও বরিশাল কারাগারের জেলারকে বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার থেকে জানা যায়, ঘটনার শুরু ১৯৯৩ সালের ২৫ জানুয়ারি। ১ লাখ টাকার চুক্তিতে শরীয়তপুরে গোসাইর হাটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সেলিম মিঞা ঢালী নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনার দুদিন পর গ্রেপ্তার হন একই এলাকার আলাউদ্দিন গাজী। চারজন আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে, হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন।
২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি ২৬ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর একে একে হাইকোর্টে সব আসামির মামলা শেষ হয়। যাবজ্জীবন সাজা খেটে বেরও হয়ে যান সবাই। তবে অর্থাভাবে আর আপিল করতে পারেননি আলাউদ্দিন। সংসার না থাকায় বেঁচে থাকা দুই ভাতিজির কল্যাণেই ৩০ বছর পর জানা গেলো আপিল করার কেউই ছিল না।