প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩ ১৩:১৫ পিএম
আপডেট : ৩১ মে ২০২৩ ১৫:২৭ পিএম
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
কর ফাঁকির মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৩১ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
১২ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেছিলেন ড. ইউনূস। বুধবার সেগুলো খারিজ করে দেন আদালত। ফলে তার এনবিআরকে ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২৩ মে ১২ কোটি টাকা কর দাবি করে এনবিআরের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষ হয়। একই সঙ্গে রায়ের জন্য ৩১ মে দিন ধার্য করা হয়।
ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। আর ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তাদের তরফে বলা হচ্ছে, তিনি (ড. ইউনূস) টাকা দান করেছেন। তাই কর অব্যাহতি পাবেন। আর আমরা বলেছি, কর অব্যাহতির যেসব কারণ আছে, সেগুলোর মধ্যে তারটা পড়ে না। ফলে তাকে দানকর দিতে হবে। আদালত শুনেছেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে ড. ইউনূসকে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেওয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।
তার এই মামলার শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে খারিজ করে রায় দেন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর হাইকোর্টে তিনি পৃথক তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন। হাইকোর্ট তার মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন। এই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার রায়ের দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।