২৪৮ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩ ১৫:২৯ পিএম
আপডেট : ১০ মে ২০২৩ ১৫:৩০ পিএম
ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে প্রোগ্রাম ফর পারফরম্যান্স ইমপ্রুভমেন্ট (পিপিআই) পরিচালনা কমিটির নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব হতে ২৪৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার সাবেক দুই রাজস্ব কর্মকর্তাসহ তিনজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১০ মে) সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান।
আসামি করা হয়েছে ঢাকা ওয়াসার সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক এবং পিপিআই প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদের কো-চেয়ারম্যান মিঞা মো. মিজানুর রহমান, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক ও পিপিআই পরিচালনা পর্ষদের সাবেক অফিস ব্যবস্থাপক মো. হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া ও ঢাকা ওয়াসার জোন-৬ এর কম্পিউটার অপারেটর (আউটসোর্সিং) মো. নাঈমুল হাসানকে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে পিপিআই পরিচালনা কমিটির নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব হতে অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে সর্বমোট ২৪৮ কোটি ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এই সময়ের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক পিপিআই প্রকল্পের বিল বাবদ সর্বমোট ৩৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৯ টাকা টাকা জনতা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার কর্পোরেট শাখার চলতি হিসাব নং- ০১০০০০০৪০২০৬৫ এর মাধ্যমে সমিতিকে প্রদান করে।
এ সময়ে ঢাকা ওয়াসার প্রদান করা টাকার বিপরীতে বর্ণিত সময়ের স্টেটমেন্ট, উক্ত সময়ের অডিট রিপোর্ট, সমিতির ক্রয়কৃত অন্যান্য সম্পদ রেজিস্টার, পিপিআই প্রকল্পে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস, সমিতির সদস্যদের দেওয়া ডিভিডেন্ড, ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ, আসবাবপত্র ক্রয়, যানবাহন ক্রয়, স্থাপনা বাবদ ব্যয়ের তথ্য পর্যালোচনা করে ৯৫ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৫ টাকা ব্যয়ের রেকর্ড পাওয়া যায়। এছাড়াও উক্ত সময়ে ব্যাংক হিসাবটিতে স্থিতি ছিল ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৪ টাকা।
এজাহারে আরও বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি, পিপিআই পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যাংক হিসাব পরিচালনাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ব্যয়ের হিসাব বা প্রমাণ অনুসন্ধানকালে দেখাতে পারেননি। ফলে মোট ২৪৮ কোটি ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা করা হয়।