প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩ ১৮:০৯ পিএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৩ ১৯:০০ পিএম
সংগৃহীত ফটো
ব্যবসার জন্য ধার দেওয়া দুই লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন মোল্লাকে হত্যা করা হয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার আসামি শান্ত। ইকরাম হোসেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রবিবার (৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত শান্তর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অন্যদিকে এ মামলার অপর আসামি আবু সিদ্দিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত।
শান্ত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক এনামুল হক খন্দকার তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
অপরদিকে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অপর আসামি আবু সিদ্দিকের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবু সিদ্দিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এনামুল হক খন্দকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইট-বালুর ব্যবসায় লগ্নি করতে বন্ধু শান্তকে দুই লাখ টাকা দিয়েছিলেন ইকরাম। বিনিময়ে প্রতি মাসে তাকে হাত খরচার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছয় মাস আগে টাকা লগ্নি করেও কোনো হাত খরচা পাননি ইকরাম। উল্টো নেশাগ্রস্ত হয়ে ব্যবসার পুঁজি শেষ করে ফেলছিলেন শান্ত। এমন পরিস্থিতিতে টাকা চাওয়ায় ও শান্ত নেশাগ্রস্ত এ তথ্য তার পরিবারকে জানানোয় ক্ষিপ্ত হন শান্ত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে শান্ত আরেক বন্ধু আবু সিদ্দিককে সঙ্গে নিয়ে ইকরামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ বলছে, পরিকল্পনা করেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ইকরামকে। তার চোখও তুলে ফেলা হয়েছিল। হত্যা নিশ্চিত করে ডোবায় ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল মরদেহ।
এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা কবির হোসেন মোল্লা।