চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৪২ পিএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৫৯ পিএম
কঠোর নিরাপত্তায় আসামি বাবুল আক্তারকে নেওয়া হয় আদালতে। ছবি : প্রবা
চট্টগ্রামের মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিচার শুরু হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর মধ্য দিয়ে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।
এ সময় মামলার আসামি বাবুল আক্তার, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া ও মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, হানিফুল হক প্রকাশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এই মামলায় আসামিদের মধ্যে জামিনে থাকা এহতেশামুল হক ভোলাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে খাইরুল ইসলাম কালু পলাতক ও কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা নিখোঁজ রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ। শুনানিতে বাবুল আক্তারের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ। তিনি জানান, উচ্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেই কারণ দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ ঈদের পরে শুরু করার জন্য সময় চাওয়া হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষ ৪৫ মিনিট যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত সাক্ষ্য শুরুর আদেশ দিলে মোশাররফ হোসেন জবানবন্দি দেন।
এর আগে ১৩ মার্চ বিকালে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে মিতুর স্বামী পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে। অভিযোগপত্রে অন্য আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ, হানিফুল হক প্রকাশ ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া। এতে মুসা ও কালুকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আসামিদের মধ্যে ভোলা জামিনে রয়েছেন। মুসা ও কালু শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। বাবুল আক্তারসহ অন্যরা কারাগারে রয়েছেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ৬ জুন বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় মিতুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে পরকীয়া সর্ম্পকের জের ধরেই বাবুলের পরিকল্পনায় মিতুকে হত্যা করা হয়।