সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নোবিপ্রবি শিক্ষকের আইনি নোটিশ

অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত এক সংবাদের জেরে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক তৃষা সাহা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত ১২ মার্চ তৃষা সাহার পক্ষে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী আর কে পাল (রাজেশ)। 

এতে প্রতিদিনের বাংলাদেশের অনলাইন ভার্সনে গত ৪ মার্চ ‘নোবিপ্রবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ চেয়ারম্যানের’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রকাশিত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটির কারণে সহকারী অধ্যাপক তৃষা সাহার ব্যাপক সম্মানহানি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

আইনি নোটিশে তৃষা সাহার আইনজীবী বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আরও দুটি সংবাদের অনুলিপি সংযুক্ত করেছেন, যেখানে আরেক শিক্ষকের সঙ্গে তৃষার বিরোধের বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি এ বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। আইনি নোটিশে আর কে পাল জানিয়েছেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি তৃষা সাহার সঙ্গে যোগাযোগ না করেই তার বানোয়াট মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে দু:খ প্রকাশ করে প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন তৃষার আইনজীবী।

৪ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ুন : নোবিপ্রবির শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ চেয়ারম্যানের

আইনি নোটিশ নিয়ে প্রতিবেদকের বক্তব্য

কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে বা বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরিত অভিযোগের আলোকে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে নিজস্ব প্রতিবেদকের কোনো বক্তব্য নেই। একই প্রতিবেদন বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। তৃষা সাহার সঙ্গে কথপোকথনের ডকুমেন্টস প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, যেখানে বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে কল দেওয়া হলে তিনি দুই ঘণ্টা পর কল দিতে বলেছিলেন। দুই ঘণ্টা শেষ হলে রাত ৯টা ১০ মিনিটে কথা হয়। আবার ৯টা ২৪ মিনিটে তিনি নিজেই ফোন করে কথা বলেন।