কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৫ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৭:০৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকায় হামলায় অভিযুক্তকে না পেয়ে তার শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একদিন হাজত বাসের পর পুলিশ তাদের আদালত তুললে বিচারক জামিন দেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, অভিযুক্তের বদলে নিরীহ শিশু ও তার মাকে হাজতে আটকে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
ওই নারী ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব ফরাজী পাড়া এলাকার শাহজাহানের স্ত্রী। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাতে তাকে শিশুসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঈদগাঁওর জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ বলেন, ‘ওই নারীর স্বামী শাহজাহান ও প্রতিবেশী হারুন অর রশীদের মধ্যে নলকূপের পানি চলাচল নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় শাহাজাহান, হারুন অর রশীদকে নখ কাঁটার যন্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি জখম হন। পরে তাকে স্থানীয়রা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন ফোর্স নিয়ে বিকালে শাহাজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় শাহজাহানকে না পেয়ে তার স্ত্রী, দুগ্ধজাত শিশু, দুই বছরের আরও এক শিশুকে থানায় নিয়ে যায়। পরে হারুন অর রশীদ ও স্বজনরা থানায় গিয়ে নাটকীয় কায়দায় মামলা রেকর্ড করে।‘
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘটনাটি মীমাংসার যোগ্য, পুলিশ অতিরঞ্জিত করে নিরীহদের ধরে এনে আদালতে সোপর্দ করেছে। এটি অমানবিক, নিষ্ঠুরতা।’
এসআই গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শাহজাহানের স্ত্রীকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে ভুক্তভুগী হারুন অর রশীদের পরিবার মামলা করলে, সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।’
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বলেন, এজাহারের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। বাচ্চাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় রাখা হয়েছিল।