প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪৬ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৫:২৪ পিএম
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ফটো
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
তার আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম সেই আপিল খারিজ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এমএ আজিজ খান।
১৫ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এমএ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
১৪ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন দুটি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি।
তার আগে ১২ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট। এ সময় রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান আদালত। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রত প্রকাশ করেন।
বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এ রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করছি।’
এরপর রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত।
তারও আগে ৭ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা ইসির গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।