প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:১০ পিএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:৪৯ পিএম
ফাইল ছবি।
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রকাশ করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা দুটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট দুটি খারিজের আদেশ দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রিট আবেদন দুটি শুনানির জন্য এই বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী।
১২ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রতবোধ করেন।
ওই বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এই রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত, এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রতবোধ করছি। পরে রিট আবেদনটি আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিই।’
৭ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রকাশ করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়। একই সঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এমএ আজিজ খান। এই রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়।
এদিকে একই বিষয়ে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট দায়ের করেছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী। সেটিও খারিজ করা হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।