× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:০৮ পিএম

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:২৮ পিএম

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপরও হামলা করে পুলিশ। ফোকাস বাংলা

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপরও হামলা করে পুলিশ। ফোকাস বাংলা

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ ও মারধর করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর পুলিশের হামলার ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে পেশাগত দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় সাংবাদিকদের ওপর এমন মারধরের ঘটনা নজিরবিহীন।

পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাবেদ আক্তার, জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন হুমায়ুন কবির, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার এস এম নূর মোহাম্মদ, সময় টিভির ক্যামেরাপারসন সোলাইমান স্বপন, ডিবিসির ক্যামেরাপারসন মেহেদী হাসান মিম ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপারসন ইব্রাহিম।

এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাবেদ আক্তার বলেন, ‘সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ আমাকে পায়ের নিচে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নির্যাতন করেছে। এ সময় পুলিশ সাংবাদিক-সমাজ নিয়েও কুরুচিপূর্ণ কথা বলতে থাকেন।’

প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত অডিটোরিয়ামে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তাদের অডিটোরিয়াম থেকে বের করে দেওয়ার জন্য সেখানে প্রবেশ করেন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। তারা সেখানে ঢুকেই বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলেন সাংবাদিকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিতভাবে সাংবাদিকদের মারধর ও লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, ‘দুঃখজনক এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। দায়িত্ব পালনের সময় সবার সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’ এ সময় প্রধান বিচারপতি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

বুধবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকারের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সারওয়ার ভুঞা, সহসভাপতি দিদারুল আলম দিদার, সাবেক সহসভাপতি হিরা তালুকদারসহ ফোরামের নেতারা। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাংবাদিকদের সাক্ষাতের সময় আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নানা অভিযোগের পরও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বুধবার প্রথম  
দিনের মতো শেষ হয়েছে। বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেল নির্বাচন বয়কট করলেও সমিতির অডিটোরিয়ামে আওয়ামীপন্থি সাদা প্যানেলের সমর্থকরা ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে।

অন্যদিকে নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে অডিটোরিয়ামের বাইরে বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ করছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান খানের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দুপুর পৌনে ১২টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। বৃহস্পতিবার শেষ দিনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’

বিএনপিপন্থি নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। এর বাইরে কারও অধীনে নির্বাচন করব না।’

বুধবার সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত অডিটোরিয়ামে বিক্ষোভ শুরু করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বের করে দেয়। পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির প্রায় ১৫ আইনজীবী এবং ১০ সাংবাদিক আহত হন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীর পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে মঙ্গলবার দিনভর বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের স্লোগানে উত্তপ্ত ছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। আওয়ামীপন্থিরাও মিছিল করেন। পাল্টাপাল্টি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করে উভয় পক্ষ। রাতে বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে, যা বুধবারও চলেছে।

আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়েছে।

আর বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অভিযোগ, রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই বুধবারের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। বৃহস্পতিবারও তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা