প্রশ্নফাঁসের মামলা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২০:০৮ পিএম
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধর। সংগৃহীত ফটো
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধর।
রবিবার (৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন নিখিল রঞ্জন। শুনানি শেষে আদালত দুই হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর শামীম আহমেদ আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। ড. নিখিল রঞ্জন পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- প্রশ্নফাঁসের মূলহোতা আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, আব্দুল্লাহ আল জাবের, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহম্মেদ বাবুল, রবিউল ইসলাম রবি ও জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) পদে এক হাজার ৫১১ জনকে নিয়োগ দিতে ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর বিকালে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার আগের রাতে ‘প্রশ্নফাঁস হবে’ এমন তথ্য আসে পুলিশের ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের (ডিবি) কাছে। ডিবির সদস্যরা ছদ্মবেশে পরীক্ষার্থী সেজে ৬ নভেম্বর সকাল সাতটার দিকে প্রশ্নপত্রসহ উত্তর পাওয়ার জন্য চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অগ্রিম টাকা পরিশোধের পর প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রসহ চক্রের অন্যতম হোতা রাইসুল ইসলাম স্বপনকে হাতেনাতে আটক করে ডিবি।