প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:২০ পিএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৯ পিএম
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারমূলক ও আক্রমণাত্মক আচরণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট প্রশ্নে রেখে বলেছেন, ‘আইন ব্যবসা আর চকবাজারের ব্যবসা কি এক?’ নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষাপটে তিন আইনজীবীর হাজিরাবিষয়ক শুনানিতে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ প্রশ্ন রাখেন। জবাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি না-সূচক জবাব দেন।
পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানি ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন। ওইদিন বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি মো. মোমতাজুল হক, আইনজীবী মো. আজহারুল ইসলাম ও আইনজীবী ফেরদৌস আলমকে ফের হাইকোর্টে হাজির হতে হবে।
এর আগে সকালে অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ওই তিন আইনজীবী হাইকোর্টে হাজির হন। ওই ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার লিখিত আবেদন করেন তারা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষারকান্তি রায় প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন আমরা হাতে পেয়ে তা আদালতে দাখিল করেছি।’
আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারমূলক, আক্রমণাত্মক ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজুল হক, আইনজীবী মো. আজহারুল ইসলাম, আইনজীবী ফেরদৌস আলমকে তলব করেন হাইকোর্ট।
নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম সারোয়ারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ জানুয়ারি বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার জন্য নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজুল হকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।