প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪০ পিএম
ফাইল ফটো।
বরগুনায় ২০০৩ সালে স্ত্রী মালতি বেগমকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল জলিল নামে এক ব্যক্তির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামির আপিল খারিজ করে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (২৯ জানুয়ারি) এ রায় দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা।
তিনি জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এ ছাড়া সাক্ষীদের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী ছিল। শুনানিতে এসব বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। রায়ে আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে অনাদায়ে ছয় মাসের দণ্ড দিয়েছেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আবদুল জলিল জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বাইনচটকি গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে।
১৯৯৮ সালে আবদুল জলিল ও ফরিদপুরের মালতি বেগমের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০৩ সালের ২৮ আগস্ট মালতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এরপর তার মরদেহ বস্তায় ভরে বাড়ির পেছনে পোড়াবাড়ির বাগানে পুঁতে রাখেন তিনি। পরদিন মালতির মরদেহ শেয়াল-কুকুরকে খেতে দেখে প্রতিবেশীরা কাকচিড়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কাকচিড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. একরামুল বাদী হয়ে মালতির স্বামী, দুই দেবর, ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৪ সালের ৮ এপ্রিল সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচার শেষে ছয়জনকে খালাস দিয়ে মালতির স্বামী জলিলকে ২০১৭ সালের ৯ মে মৃত্যুদণ্ড দেন বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু তাহের।