প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৫০ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:০১ পিএম
ফাইল ফটো
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আমাতুল্লাহ বুশরাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ৭ম অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত রবিবার (৮ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
জামিনের বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাহবুবুর রহমান।
এদিন আদালতে বুশরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। এদিন ফারদিনের বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বুশরাকে জামিন দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই আদালতে বুশরার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত বুশরার জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন। ওই দিন আসামির পক্ষে জামিন শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘এটি চাঞ্চল্যকর মামলা। ডিবি, র্যাব তদন্ত করে জানিয়েছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টও এসেছে আত্মহত্যার বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুশরা মেধাবী শিক্ষার্থী। বিতর্ক করার সময় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। দুই তদন্ত সংস্থা তন্নতন্ন করে দেখেছে, ঘটনা কী। বুশরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় মর্মে তদন্তে জানা গেছে।’
শুনানিতে ওই আইনজীবী আরও বলেন, ‘বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাদের (ফারদিন ও বুশরা) মধ্যে সম্পর্ক ছিল, এটার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা মানবিক কারণে এসেছি জামিন চাইতে। দয়া করে, তাকে জামিন দিন।’
বাদীপক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট শামীম হাসান জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘বুশরা এজাহারনামীয় আসামি। মামলার তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় আসামি জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। এজন্য তার জামিনের বিরোধিতা করছি।’ শুনানির ওই দিনও ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা আদালতে হাজির ছিলেন।
নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নূর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় ফারদিনের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলার পর বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়।