প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৫:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৬:৩৩ পিএম
২০১৫ সালে রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ৪ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম কমিশনার, তার ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙারী সোহেল।
আসামিদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত এ মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডি’র কর্মকর্তা তাবেলা সিজার। এ ঘটনায় একইদিন তার সহযোগী আইসিসিও’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হেলেন ভেন ডার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যা মামলার ২০১৬ সালের ২২ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে একই বছরের ২৫ অক্টোবর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি সোহেলের কাছ থেকে পিস্তল ভাড়া নিয়ে খুনিরা তাবেলা সিজারকে হত্যা করেন। মতিনের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ ও রাসেল গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান। ওই সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানা প্রাচীরের বাইরে ফুটপাতে নিরিবিলি ও অন্ধকার স্থানে তামজিদ গুলি করে তাবেলা সিজারকে হত্যা করেন। তাকে সহায়তা করেন রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল।
আরও বলা হয়, হামলাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা। একইসঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা ছিল আসামিদের।
এ মামলায় বিচার চলাকালে মোট ৭০ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।